বালিয়াডাঙ্গী সূর্য্যপূরী আম গাছ
প্রায় ২০০ বছরের পুরনো সূর্য্যপূরী আমগাছটি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ভারতের সীমান্তবর্তী হরিণ মারি গ্রামে অবস্থিত। গাছটি প্রায় ২.৫ বিঘা জমির উপর বিস্তৃত। গাছটির শাখা-প্রশাখা অশ্বত্থ গাছের মত মাটির দিকে ঝুঁকে পরার প্রবনতা লক্ষ করা যায়। এটিকে এশিয়া মহাদেশের সর্ববহৎ আমগাছ বলা যায়। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় অবস্থিত সূর্যপূরী আমগাছ বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক আমগাছ। এটি শুধু একটি গাছ নয়, এটি একটি জীবন্ত কিংবদন্তি।
অবস্থান: ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারী ইউনিয়নের মন্ডুমালা গ্রামে এই বিশাল আমগাছটি অবস্থিত।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য:
বিশাল আয়তন: এই আমগাছটি আয়তনে এতটাই বিশাল যে এটিকে একক গাছ না বলে একটি ছোট আমবাগান বলা চলে। এর ডালপালাগুলো চারদিকে এতটাই বিস্তৃত যে প্রায় ২.৫ থেকে ৩ একর জমি জুড়ে এর ছায়া পড়ে।
বয়স: ধারণা করা হয়, গাছটির বয়স প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ বছর। তবে এর সঠিক বয়স সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।
নামকরণ: স্থানীয়দের মতে, একসময় এই গাছের নিচে সূর্যালোক পৌঁছাত না বলে একে "সূর্যপূরী" বা "সূর্যপুরী" আমগাছ বলা হতো। আবার, এটি একটি বিশেষ জাতের আমের গাছ, যার নাম সূর্যপূরী, সে কারণেও এমন নামকরণ হতে পারে।
আমের বৈশিষ্ট্য: এই গাছের আমগুলো স্বাদে মিষ্টি ও সুগন্ধযুক্ত। আমগুলো আকারে মাঝারি এবং দেখতে ডিম্বাকৃতির।
ডালপালার বিস্তৃতি: গাছটির প্রতিটি ডালপালা এতটাই মোটা যে একেকটি ছোট গাছের মতো দেখতে। কিছু ডালপালা মাটির সমান্তরালে অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে আবার মাটিতে নেমে গেছে এবং সেখানেই নতুনভাবে শিকড় গজিয়েছে। এতে গাছটি আরও শক্তিশালী হয়েছে এবং তার জীবনকাল দীর্ঘায়িত হয়েছে।
পর্যটন কেন্দ্র: গাছটি দেখতে প্রতি বছর প্রচুর পর্যটক ভিড় করে। এর বিশালতা এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব মানুষকে মুগ্ধ করে। এখানে একটি ছোট বিশ্রামাগার ও পর্যটকদের জন্য বসার ব্যবস্থা রয়েছে।
বর্তমান অবস্থা: গাছটি এখনো সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে এবং প্রতি বছর ফল দেয়। স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী গাছটির রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ নজর রাখে। এটি ঠাকুরগাঁও জেলার একটি অন্যতম প্রধান আকর্ষণ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks For Your Massage