ঠাকুরগাঁও জেলার অর্থনীতি:
এই জেলার মূলত কৃষিভিত্তিক।এখানকার মাটি উর্বর এবং জলবায়ু ফসল চাষের জন্য উপযুক্ত, তাই কৃষিখাতই আয়ের প্রধান উৎস।
কৃষি: ফসল: ধান, গম, ভুট্টা, আলু, পাট, আখ, শাকসবজি এবং বিভিন্ন ধরনের ডাল এখানে প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়। বিশেষ করে আলু এবং ধান উৎপাদনে ঠাকুরগাঁওয়ের সুনাম রয়েছে।
মৎস্য চাষ: জেলার নদী, খাল এবং পুকুরগুলিতে মাছ চাষ হয়, যা স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অর্থনীতিতেও অবদান রাখে।
পশুপালন: গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি পালনও গ্রামীণ অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
শিল্প: কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প: কৃষিনির্ভর হওয়ায় এখানে কিছু কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে উঠেছে, যেমন চাল কল, আটা কল, তেল কল এবং বরফ কল।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প: বাঁশ ও বেতের কাজ, মৃৎশিল্প, তাঁত শিল্প এবং হস্তশিল্পের মতো ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আয়ের উৎস।
চিনি কল: ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস লিমিটেড জেলার অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান, যা স্থানীয় আখ চাষীদের জন্য একটি বড় বাজার তৈরি করেছে।
ব্যবসা-বাণিজ্য: স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষি পণ্য এবং শিল্পজাত দ্রব্য কেনাবেচার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালিত হয়। জেলা শহর এবং উপজেলা সদরের হাট-বাজারগুলি অর্থনৈতিক লেনদেনের কেন্দ্রবিন্দু।
অন্যান্য খাত: শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সরকারি সেবাসমূহও জেলার অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে। সামগ্রিকভাবে, ঠাকুরগাঁওয়ের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর হলেও ধীরে ধীরে শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য খাতও প্রসারিত হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন