পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়নের হাটপাড়া নামক স্থানে টাঙ্গন নদীর বাঁকে মনোরম প্রাকৃতিক
পরিবেশে যে রাজবাড়ির অস্তিত্ব অনুভব করা যায় তা রাজভিটা নামে বর্তমান
মানুষের নিকট পরিচিত। এর সঠিক ইতিহাস পাওয়া কঠিন। তবে অনুমান করা হয় এটি
শেরশাহের সময়ে নির্মিত হয়েছিল। এখানে শেরশাহ আমলের মুদ্রা পাওয়া যায়। একটি
শিলালিপি পাওয়া গেছে যার বর্ণগুলো অপরিচিত এবং শিলালিপিতে একটি উট, একটি
ঘোড়া ও একটি শুকরের প্রতিকৃতি আছে। সাংবাদিক কাজী নুরল ইসলাম তাঁর
'পীরগঞ্জের ঐতিহাসিক রাজভিটা' নিবন্ধে এ সমস্ত তথ্য প্রদান করে
বলেছেন-'এগুলোর সূত্র বিশ্লেষণ করা হলে ঐ স্থানে কোন আমলে কোন রাজার
রাজভিটা ছিল এর সঠিক তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হবে।'
রাজভিটায়
দাঁড়িয়ে থাকা রাজপ্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ নেই- সবই মাটির গর্ভে। মাটি খুড়লেই
ইট পাথর বের হয়ে আসে। বিভিন্ন ভবনের অস্তিত্ব অনুভব করা যায়। আর নদীর
ভাঙনেও নানা আকৃতির প্রচুর ইট ও পাথর বেরিয়ে আসে। নদীর উপত্যকায় পড়ে আছে
বহু পাথর ও প্রাচীন ইট। রাজ
পরিবারবর্গ টাঙ্গন নদীকেই নৌপথ হিসেবে ব্যবহার করত যা সহজে বোঝা যায়।
রাজভিটা প্রায় ৫০০ মিটার দীর্ঘ এবং ২৫০ মিটার প্রস্থ। রাজভিটা থেকে তিন
কিলোমিটার দক্ষিণে শেরশাহ আমলের পূর্ণিয়া সড়কের নিদর্শন আছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন