tag (gtag.js) --> ঠাকুরগাঁও বার্তা: _ ঠাকুরগাঁও জেলার রানিশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বাজারে বড় মসজিদ _

_ ঠাকুরগাঁও জেলার রানিশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বাজারে বড় মসজিদ _

ঠাকুরগাঁও জেলার রানিশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বাজারে বড় মসজিদ নামে এই মসজিদটি পরিচিত।স্থানিও লোকজন অনেকেই এই মসজিদটিকে নেকমরদ কেন্দ্রীয় মসজিদও বলে থাকেন।চমৎকর কারুকার্যে নির্মিত এই বড় মসজিদটি সরাসরি নিজের চোখে দেখলে হয়তো আরও ভলো লাগতে পারে।মসজিদটির সামনে একটি পীর আউলিয়া মাজর ও ঠিক পেছনপ্বার্শে একটি শত শত বছরের পুরনো বট গাছ আছে।সব কিছু মিলিয়ে খুব চমৎকার একটা জায়গা।
  • পীর শাহ নেকমরদের মাজার

রানীশংকৈল উপজেলা থেকে প্রায় নয় কিলোমিটার উত্তরে নেকমরদ স্থানটি। এলাকাটির মূল নাম হচ্ছে ভবানন্দপুর। আজও নেকমরদকে মৌজা হিসেবে ভবানন্দপুর লেখা হয়। শেখ নাসির-উদ-দীন নামক এক পূণ্যবান ব্যক্তি ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ভবানন্দপুর আসেন। তিনিই পীর শাহ নেকমরদ নামে খ্যাতিমান এবং এই খ্যাতিমান পুণ্যাত্মা পুরুষের কারণেই ভবানন্দপুর পরবর্তীকালে নেকমরদ নামে পরিচিতি লাভ করে।
নেকমরদ বাজারের পূর্বদিকে পীর শেখ নাসির-উদ-দীন নেকমরদের মাজার। তাঁর সম্পর্কে জনশ্রুতি ছাড়া সঠিক ইতিহাসের সন্ধান পাওয়া যায় না। তবে অনুমান করা হয় সুলতানি আমলে তাঁর আগমন ঘটে। পীর শাহ নেকমরদ সম্পর্কে আছে নানাধরনের চমকপ্রদ কিংবদন্তী। নেকমরদ এলাকাটি প্রত্ন উপকরণে সমৃদ্ধ। পীর শাহ নেকমরদের মাজার প্রত্ন উপকরণের মাঝে প্রতিষ্ঠিত বলে কিংবদন্তীর কাহিনী আরো জোড়ালো। যেমন হিন্দু রাজত্বের শেষ যুগে ভীমরাজ ও পীতরাজ নামে দুভাই এই অঞ্চলের শাসক ছিলেন। তাদের শাসনামলে প্রজা সাধারণ ছিল নির্যাতিত। অনাচার, দুর্নীতি আর অরাজকতায় মানুষ ছিল অতিষ্ঠ। এমন দুঃসময়ে শেখ নাসির-উদ-দীন নেকমরদ এই রাজ্যে প্রবেশ করেন। ভীমরাজ ও পীতরাজ কৌশলে তাঁকে বাধা দিলে তিনি অলৌকিক ক্ষমতাবলে সেই বাধা ছিন্ন করেন। বিরক্ত হয়ে অত্যাচারী দুভাইকে অভিশাপ দিলে তারা ধ্বংস হয়ে যায়। তাদের রাজধানীর ধ্বংসাবশেষের উপর নির্মিত হয় পীর শাহ নেকমরদের আস্তানা। বিধ্বস্ত রাজধানীর উপর শুরু হয় নতুন জনপদের যাত্রা। পীর শাহ নেকমরদ পহেলা বৈশাখে ইন্তেকাল করেন। তাঁর পূণ্য স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতে এই তারিখে পবিত্র ওরস উদযাপন ও বার্ষিক মেলার প্রবর্তন হয়। এই মেলাই হচ্ছে বিখ্যাত নেকমরদ মেলা। পীর শাহ নেকমরদের মাজার সম্পূর্ণ কাঁচা ছিল। মাজারের কারুকার্য খচিত চাঁদোয়া এবং জামে মসজিদটি প্রায় আশি বছর পূর্বে নির্মিত হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন