ঠাকুরগাঁও জেলার শিক্ষা ও সংস্কৃতি
উত্তরের জনপদের জ্ঞানচর্চা ও লোকজ ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি
শিক্ষা ব্যবস্থা
ঠাকুরগাঁও জেলায় শিক্ষার হার তুলনামূলকভাবে ভালো। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে এখানে শিক্ষার মান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা
প্রায় প্রতিটি গ্রামেই প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে, যা শিশুদের মৌলিক শিক্ষা নিশ্চিত করছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা
উপজেলা পর্যায় এবং বড় গ্রামগুলোতে মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। শিক্ষার্থীরা দশম শ্রেণী পর্যন্ত এখানে পড়াশোনা করে।
উচ্চ শিক্ষা
ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজসহ জেলা ও উপজেলা শহরে একাধিক কলেজ রয়েছে, যেখানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রদান করা হয়।
মাদ্রাসা ও কারিগরি
ধর্মীয় শিক্ষার জন্য মাদ্রাসা এবং দক্ষ জনশক্তি গড়ার জন্য কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠেছে।
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য
- ভাষা: এখানকার মানুষের প্রধান ভাষা বাংলা, তবে স্থানীয় উপভাষার একটি মিষ্টি প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
- নৃত্য ও সঙ্গীত: লোকনৃত্য ও লোকসংগীত এখানকার প্রাণ। ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, জারি, সারি, মুর্শিদি গান এবং লাঠিখেলা গ্রামীণ জনপদে এখনো প্রচলিত।
- মেলা ও উৎসব: পহেলা বৈশাখ, নবান্ন উৎসব, পৌষ সংক্রান্তি এবং রুহিয়া আজাদ মেলা ও বালিয়াডাঙ্গী মেলার মতো উৎসবগুলো জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হয়।
- ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা: হা-ডু-ডু (কাবাডি), গোল্লাছুট, বউচি, দাড়িয়াবান্ধা খেলাগুলো এখনো গ্রামের মাঠে দেখা যায়।
- খাদ্য ও পোশাক: চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, রসমালাই ও ছানার জিলাপি এখানকার ঐতিহ্য। পুরুষরা লুঙ্গি-পাঞ্জাবি এবং নারীরা শাড়ি পরতে পছন্দ করেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks For Your Massage