ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষি:
ঠাকুরগাঁও জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি কৃষিপ্রধান জেলা। এখানকার অর্থনীতি মূলত কৃষিনির্ভর।
প্রধান ফসলসমূহ:
ধান: এটি ঠাকুরগাঁওয়ের প্রধান খাদ্যশস্য। আউশ, আমন ও বোরো - তিন মৌসুমেই ধানের চাষ হয়।
গম: ধান ছাড়াও গম একটি গুরুত্বপূর্ণ রবিশস্য।
ভুট্টা: সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভুট্টার চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি কৃষকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
আলু: ঠাকুরগাঁও আলু উৎপাদনে দেশের অন্যতম শীর্ষ জেলা। এখানে উন্নত মানের আলুর চাষ হয় এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।
পাট: অর্থকরী ফসল হিসেবে পাটের আবাদও উল্লেখযোগ্য।
আখ: জেলার কিছু অংশে আখের চাষ হয়, যা স্থানীয় চিনিকলগুলোতে সরবরাহ করা হয়।
অন্যান্য ফসল ও কৃষি পণ্য:
তেলবীজ: সরিষা, তিল ইত্যাদি তেলবীজ ফসলের চাষ হয়।
ডাল: মসুর, খেসারি, মুগ ডালসহ বিভিন্ন প্রকার ডালের চাষ হয়।
শাকসবজি: প্রায় সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি যেমন - বেগুন, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, শিম, পটল, ঝিঙা ইত্যাদি উৎপাদিত হয়।
ফল: আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেঁপে ইত্যাদি ফলের চাষও দেখা যায়।
মশলা: পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ ও মরিচের চাষও হয়।
কৃষি পদ্ধতি ও সেচ:
সাধারণত ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক উভয় কৃষি পদ্ধতিই ব্যবহৃত হয়। সেচের জন্য গভীর ও অগভীর নলকূপের ব্যবহার ব্যাপক।
কৃষি অর্থনীতিতে প্রভাব: ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষি জেলার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এখানকার উৎপাদিত কৃষি পণ্য স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য স্থানেও সরবরাহ করা হয়, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। কৃষিভিত্তিক শিল্প যেমন - চাল কল, আটা কল, আলু হিমাগার ইত্যাদিও জেলার অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে। ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষিক্ষেত্রে আরও তথ্যের জন্য, আপনি নির্দিষ্ট ফসলের উৎপাদন বা কৃষি পদ্ধতির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন